স্বাগতম আপনাকে একজন ফ্রিল্যান্স কর্মী'র জগতে; আশা করছি এই ভিন্নধর্মী এবং বিকল্প পেশাটি আপনার জন্য একটি ঠিক সিদ্ধান্ত হবে!
কিন্তু কেন আমি "ফ্রিল্যান্সিং"কে একটি বিকল্প পেশা বলছি? এটি মোটেও একটি নতুন কোন চিন্তাধারা নয় যেটা আমরা - আমাদের এই নতুন প্রজন্ম - আবিস্কার করেছি। অনেক অনেক বছর ধরেই মানুষ মুক্তপেশাজীবী বা "ফ্রিল্যান্স কর্মী" হিসেবে কাজ করে আসছে। এই ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়, যেটা হটাৎ করেই একটা ঝোঁক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম হটাৎ করেই "ফ্রিল্যান্সিং" নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছে, এবং তার পেছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের দেশে যে পরিমাণ মেধা ও দক্ষতা রয়েছে, তার তুলনায় আমাদের চাকরীর বাজার খুবই ছোট। যা চাকরী আছে তা দিয়ে খুব কম পরিমাণের লোকের কর্মসংস্থান হবে, এবং তার প্রমান আমাদের ভয়াবহ বেকার সমস্যা। আমাদের যে পরিমাণ অফিস আর সংস্থা আছে, তাতে হাজার হাজার শিক্ষক, ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি হতে পারে, কিন্তু তাদের কি হবে যারা একটু ভিন্নধর্মী কাজ পছন্দ করে? একটু অ-প্রথাসিদ্ধ সেক্টরে আমাদের যে লোকবল আছে, তাদের জন্য একটা ভালো কাজ খুজে পাওয়া - যেখানে ভালো বেতন পাওয়া যাবে - খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। বাংলাদেশে কত আর ওয়েবসাইট তৈরি হয়, কয়টা বই লেখা হয়, কয়টা মোবাইল অ্যাপ বানানো হয় প্রতিবছর?
চাকরীর বাজারে চাহিদা আর যোগানের মধ্যে সবসময় একটা ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়; সবার জন্য যথেষ্ট চাকরি কখনই থাকে না। তার উপর, সবার জন্য তাদের মনমত কাজও পাওয়া যায় না। অন্তত, আমাদের স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় না, আর তখনি কাজে আসে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলো।
যখন পুরো পৃথিবীটা আমাদের হাতের নাগালে, তখন কেন আমরা শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের অফিসগুলোর ওপর নির্ভরশীল থাকবো? কেন আমাদের পাশের এলাকায় একটা চাকরি খুজবো যখন লাস ভেগাস, নেভাডা বা ডারউইন, অস্ট্রেলিয়ার কোন ক্লায়েন্ট বসে আছে আমাদেরই অপেক্ষায়? এমন একটা চাকরী কেন খুঁজবো যা শুধু আমাদের একটা টাইটেল, টাকা আর সম্মান দেবে, কিন্তু আনন্দ দেবে না, যখন আমাদের স্বপ্নের কাজ আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে?
অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো ঠিক তাই করছে আমাদের জন্য। আমরা আমাদের দেশের ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে এখন দুরের একটা চাকরি করতে পারছি, এবং এই জন্য আমাদের নিজেদের ঘর থেকেও বের হতে হচ্ছে না। অন্য কোন এক দেশে, অন্য একটি মহাদেশের একজন ক্লায়েন্ট - যে আমাদের ভাষায় কথা বলে না বা আমাদের মত চিন্তা করে না - তার কাজ আমরা করতে পারছি। তারা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, অথচ তারা যা খুজছিলো, তা আমরা তাদেরকে দিতে পারছি।
আর কতদিন আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করবো ফেসবুক চালাতে, মুভি দেখতে বা গান শুনতে? এতো শক্তিশালী একটা অস্ত্র আমাদের হাতে, অথচ আমরা কিছুই করবো না? আমাদের সামনে যখন পুরো পৃথিবীটা খোলা, আমরা পারি একটা কাজ খুজতে - আমাদের এলাকার বাইরে, আমাদের শহরের বাইরে, আমাদের দেশের, আমাদের মহাদেশের বাইরে।
Read this in English here.
কিন্তু কেন আমি "ফ্রিল্যান্সিং"কে একটি বিকল্প পেশা বলছি? এটি মোটেও একটি নতুন কোন চিন্তাধারা নয় যেটা আমরা - আমাদের এই নতুন প্রজন্ম - আবিস্কার করেছি। অনেক অনেক বছর ধরেই মানুষ মুক্তপেশাজীবী বা "ফ্রিল্যান্স কর্মী" হিসেবে কাজ করে আসছে। এই ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়, যেটা হটাৎ করেই একটা ঝোঁক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম হটাৎ করেই "ফ্রিল্যান্সিং" নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছে, এবং তার পেছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের দেশে যে পরিমাণ মেধা ও দক্ষতা রয়েছে, তার তুলনায় আমাদের চাকরীর বাজার খুবই ছোট। যা চাকরী আছে তা দিয়ে খুব কম পরিমাণের লোকের কর্মসংস্থান হবে, এবং তার প্রমান আমাদের ভয়াবহ বেকার সমস্যা। আমাদের যে পরিমাণ অফিস আর সংস্থা আছে, তাতে হাজার হাজার শিক্ষক, ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি হতে পারে, কিন্তু তাদের কি হবে যারা একটু ভিন্নধর্মী কাজ পছন্দ করে? একটু অ-প্রথাসিদ্ধ সেক্টরে আমাদের যে লোকবল আছে, তাদের জন্য একটা ভালো কাজ খুজে পাওয়া - যেখানে ভালো বেতন পাওয়া যাবে - খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। বাংলাদেশে কত আর ওয়েবসাইট তৈরি হয়, কয়টা বই লেখা হয়, কয়টা মোবাইল অ্যাপ বানানো হয় প্রতিবছর?
চাকরীর বাজারে চাহিদা আর যোগানের মধ্যে সবসময় একটা ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়; সবার জন্য যথেষ্ট চাকরি কখনই থাকে না। তার উপর, সবার জন্য তাদের মনমত কাজও পাওয়া যায় না। অন্তত, আমাদের স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় না, আর তখনি কাজে আসে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলো।
যখন পুরো পৃথিবীটা আমাদের হাতের নাগালে, তখন কেন আমরা শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের অফিসগুলোর ওপর নির্ভরশীল থাকবো? কেন আমাদের পাশের এলাকায় একটা চাকরি খুজবো যখন লাস ভেগাস, নেভাডা বা ডারউইন, অস্ট্রেলিয়ার কোন ক্লায়েন্ট বসে আছে আমাদেরই অপেক্ষায়? এমন একটা চাকরী কেন খুঁজবো যা শুধু আমাদের একটা টাইটেল, টাকা আর সম্মান দেবে, কিন্তু আনন্দ দেবে না, যখন আমাদের স্বপ্নের কাজ আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে?
অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো ঠিক তাই করছে আমাদের জন্য। আমরা আমাদের দেশের ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে এখন দুরের একটা চাকরি করতে পারছি, এবং এই জন্য আমাদের নিজেদের ঘর থেকেও বের হতে হচ্ছে না। অন্য কোন এক দেশে, অন্য একটি মহাদেশের একজন ক্লায়েন্ট - যে আমাদের ভাষায় কথা বলে না বা আমাদের মত চিন্তা করে না - তার কাজ আমরা করতে পারছি। তারা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, অথচ তারা যা খুজছিলো, তা আমরা তাদেরকে দিতে পারছি।
আর কতদিন আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করবো ফেসবুক চালাতে, মুভি দেখতে বা গান শুনতে? এতো শক্তিশালী একটা অস্ত্র আমাদের হাতে, অথচ আমরা কিছুই করবো না? আমাদের সামনে যখন পুরো পৃথিবীটা খোলা, আমরা পারি একটা কাজ খুজতে - আমাদের এলাকার বাইরে, আমাদের শহরের বাইরে, আমাদের দেশের, আমাদের মহাদেশের বাইরে।
Read this in English here.
No comments:
Post a Comment