"কাজ করলেই হাজার হাজার ডলার!"
"সব তো কম্পিউটারের কাজ ... আমরা তো আর কম্পিউটার নিয়ে পরি নাই!"
"অনার্স, মাস্টার্স করে আর কি হবে? এইচএসসি'র পর ফ্রিলেন্সিং শিখলেই তো ডলার কামাই করতে পারবো!"
আজকে এই ভুল ধারণাগুলোর উত্তর দেওয়া হবে এই আর্টিকেলে।
ভুল ধারনা#৫
এটা সত্যি যে কিছু বড় বড় ফ্রিল্যান্স কর্মীরা আছেন যারা প্রতিমাসে একটা বিশাল পরিমান টাকা আয় করে থাকেন, কিন্তু তাদের এই সাফল্যর পেছনের যুদ্ধটা অনেক বড়। প্রথমে এসেই তারা হাজার হাজার ডলার আয় করা শুরু করেননি; বরং একজন সফল ফ্রিল্যান্স কর্মী হতে তাদের বছরের পর বছর কাজ করতে হয়েছে। তারা মন দিয়ে কাজ শিখেছেন, যত্ন করে প্রতিটি ক্লায়েন্টের কাজ করেছেন, তারপর একজন সফল ফ্রিল্যান্স কর্মী হতে পেরেছেন। তারা যদি আসলেই "হাজার হাজার" ডলার আয় করেন, তবে নিঃসন্দেহে তারা সেটার যোগ্য।
তবে "কাজ করলেই" যে এত টাকা আয় করা যাবে এটা ঠিক না। আপনাকে নিজেকে সেই আয়ের যোগ্য করে নিতে হবে। কাজ শিখতে হবে এবং ভালোভাবে শিখতে হবে, তবেই আপনি কাজ করতে পারবেন। এবং যখন আপনি ভালো কাজ করবেন - সৎভাবে করবেন - তখনই আপনি একটা ভালো আয় করতে পারবেন। তার সাথে "ফ্রিল্যান্সিং"এর কোন আলাদা সম্পর্ক নেই; আপনি যেই কাজই করেন, ভালো করে করলে আপনি সফল হতে পারবেন।
ভুল ধারনা#৬
আসলে দেখে ঠিকই মনে হয় যে ফ্রিল্যান্স কাজ মানেই কম্পিউটারের কাজ, কিন্তু ব্যাপারটা একটু আলাদা। কম্পিউটার ব্যবহার করে কাজ করা আর কম্পিউটারের কাজ করা - এই দু'টি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। আমরা যারা "ফ্রিল্যান্সার" তারা অবশ্যই কম্পিউটার ব্যবহার করি কাজ করার জন্য, কিন্তু আমাদের সবার ব্যাকগ্রাউন্ড কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স না।
আমার কাজটাই ধরেন। আমি একজন লেখক; আমার কাজ কিন্তু একটা কাগজ আর কলম নিয়ে। হ্যা, এটা ঠিক যে আমি কাগজ-কলমে না লিখে কম্পিউটারে লিখি। আর আমার কাজের রিসার্চ করার জন্যও কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট প্রয়োজন। আমার কাজ কিন্তু মোটেও কম্পিউটার-সম্পর্কিত নয়, বরং আমার কম্পিউটারটা আমার কাজের জন্য একটা টুল, বা একটা সহায়ক।
তারপর ধরুন - ডাটা এন্ট্রি বা গ্রাফিক ডিজাইন। এই কাজগুলো'র জন্যও আপনার একটা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট দরকার, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনার কম্পিউটারের ওপর ডিগ্রি বা পড়াশোনা থাকতে হবে। আপনাকে কাজগুলো শিখতে হবে, আর কাজগুলো করার জন্য আপনাকে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে।
তবে কিছু কাজ তো অবশ্যই আছে যার জন্য আপনাকে "কম্পিউটারের কাজ" জানতে হবে, যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ্স বানানো, ইত্যাদি। এইসব কাজ করতে হলে আপনাকে ভালোভাবে আপনার কম্পিউটারটাকে জানতে হবে, কম্পিউটারের কাজ জানতে হবে, এই ব্যাপারে পড়াশোনা করতে হবে।
আরেকটা ব্যাপার। আমাদের কাজ এখানে যাই হোক না কেন, আমাদের দরকার কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ঠিকমতো ব্যবহার করতে জানা। কেননা, ক্লায়েন্ট বেশিরভাগ সময় বিদেশী হবে আর তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনাকে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখতে হবে। ইন্টারনেটে কিছু খুজে বের করা, ক্লায়েন্টের সাথে স্কাইপ বা হ্যাংআউটে কথা বলা, তাদেরকে মেইল করা বা স্ক্রিন শেয়ার করা, অথবা কাজের জন্য কোন নির্দিষ্ট সফটওয়ার ব্যবহার করা - এই সব আপনাকে শিখতে হবে।
ভুল ধারনা#৭
এটা আসলে খুব বড় একটা ভুল ধারণা। "ফ্রিল্যান্সিং করা" কখনো আপনার জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না, এটা আপনার একটা পেশাগত সিদ্ধান্ত হতে পারে। কেউ কেউ প্রাইভেট চাকরী করে, কেউ সরকারী; কেউ স্কুল-কলেজে পড়াতে চায়, আর কেউ চায় কর্পোরেট চাকরী। ঠিক তেমনি আপনি যদি ফ্রিল্যান্স কাজ করতে চান, সেটা হবে আপনার একটা সিদ্ধান্ত। আপনি যদি এটাকে আপনার জীবনের লক্ষ্য মনে করে পড়াশোনা বাদ দিয়ে আসতে চান, সেটা আপনার জন্য একটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে।
আপনি পড়াশোনা শেষ করে কিংবা একটা কাজ শিখে এই পেশায় আসতে পারেন, সেটা ঠিক আছে। অথবা এমন যদি হয় যে কোন কারনে আপনি পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি, বা আপনার যে যোগ্যতা আছে তা দিয়ে আপনি চাকরী পারছেন না, তবে নিঃসন্দেহে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি কাজ খুজতে পারেন। মনে রাখবেন, এটা শুধুমাত্র কাজ করার একটা মাধ্যম, এটা কখনও আপনার শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না। তাই পড়াশোনা বাদ দিয়ে বা ফাঁকি দিয়ে "ফ্রিল্যান্সিং" শিখতে আসবেন না। নিজেকে যোগ্য করে তুলুন - ডিগ্রি হোক, জ্ঞানে হোক আর দক্ষতায় হোক - তারপর ফ্রিল্যান্স কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তার আগে নয়।
এখন হয়তো ফ্রিল্যান্সিং একটা ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে, কালকে সেটা নাও থাকতে পারে। আগামি ১০ বছরে হয়তো "ফ্রিল্যান্সিং" বলতে আর কিছুই থাকবে না। তখন? যারা দক্ষ তারা ঠিকই একটা চাকরি পেয়ে যাবে। কিন্তু কেউ যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে টাকা আয় করার আশায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে থাকে, বা পড়াশোনা'র প্রতি অমনোযোগী হয়ে থাকে, সে বিপদে পরে যাবে।
আশা করি আপনাদের কিছু প্রশ্নের জবাব এখানে পেয়েছেন; ধন্যবাদ!
ভুল ধারনা#৫
এটা সত্যি যে কিছু বড় বড় ফ্রিল্যান্স কর্মীরা আছেন যারা প্রতিমাসে একটা বিশাল পরিমান টাকা আয় করে থাকেন, কিন্তু তাদের এই সাফল্যর পেছনের যুদ্ধটা অনেক বড়। প্রথমে এসেই তারা হাজার হাজার ডলার আয় করা শুরু করেননি; বরং একজন সফল ফ্রিল্যান্স কর্মী হতে তাদের বছরের পর বছর কাজ করতে হয়েছে। তারা মন দিয়ে কাজ শিখেছেন, যত্ন করে প্রতিটি ক্লায়েন্টের কাজ করেছেন, তারপর একজন সফল ফ্রিল্যান্স কর্মী হতে পেরেছেন। তারা যদি আসলেই "হাজার হাজার" ডলার আয় করেন, তবে নিঃসন্দেহে তারা সেটার যোগ্য।
তবে "কাজ করলেই" যে এত টাকা আয় করা যাবে এটা ঠিক না। আপনাকে নিজেকে সেই আয়ের যোগ্য করে নিতে হবে। কাজ শিখতে হবে এবং ভালোভাবে শিখতে হবে, তবেই আপনি কাজ করতে পারবেন। এবং যখন আপনি ভালো কাজ করবেন - সৎভাবে করবেন - তখনই আপনি একটা ভালো আয় করতে পারবেন। তার সাথে "ফ্রিল্যান্সিং"এর কোন আলাদা সম্পর্ক নেই; আপনি যেই কাজই করেন, ভালো করে করলে আপনি সফল হতে পারবেন।
ভুল ধারনা#৬
আসলে দেখে ঠিকই মনে হয় যে ফ্রিল্যান্স কাজ মানেই কম্পিউটারের কাজ, কিন্তু ব্যাপারটা একটু আলাদা। কম্পিউটার ব্যবহার করে কাজ করা আর কম্পিউটারের কাজ করা - এই দু'টি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। আমরা যারা "ফ্রিল্যান্সার" তারা অবশ্যই কম্পিউটার ব্যবহার করি কাজ করার জন্য, কিন্তু আমাদের সবার ব্যাকগ্রাউন্ড কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স না।
আমার কাজটাই ধরেন। আমি একজন লেখক; আমার কাজ কিন্তু একটা কাগজ আর কলম নিয়ে। হ্যা, এটা ঠিক যে আমি কাগজ-কলমে না লিখে কম্পিউটারে লিখি। আর আমার কাজের রিসার্চ করার জন্যও কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট প্রয়োজন। আমার কাজ কিন্তু মোটেও কম্পিউটার-সম্পর্কিত নয়, বরং আমার কম্পিউটারটা আমার কাজের জন্য একটা টুল, বা একটা সহায়ক।
তারপর ধরুন - ডাটা এন্ট্রি বা গ্রাফিক ডিজাইন। এই কাজগুলো'র জন্যও আপনার একটা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট দরকার, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনার কম্পিউটারের ওপর ডিগ্রি বা পড়াশোনা থাকতে হবে। আপনাকে কাজগুলো শিখতে হবে, আর কাজগুলো করার জন্য আপনাকে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে।
তবে কিছু কাজ তো অবশ্যই আছে যার জন্য আপনাকে "কম্পিউটারের কাজ" জানতে হবে, যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ্স বানানো, ইত্যাদি। এইসব কাজ করতে হলে আপনাকে ভালোভাবে আপনার কম্পিউটারটাকে জানতে হবে, কম্পিউটারের কাজ জানতে হবে, এই ব্যাপারে পড়াশোনা করতে হবে।
আরেকটা ব্যাপার। আমাদের কাজ এখানে যাই হোক না কেন, আমাদের দরকার কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ঠিকমতো ব্যবহার করতে জানা। কেননা, ক্লায়েন্ট বেশিরভাগ সময় বিদেশী হবে আর তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনাকে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখতে হবে। ইন্টারনেটে কিছু খুজে বের করা, ক্লায়েন্টের সাথে স্কাইপ বা হ্যাংআউটে কথা বলা, তাদেরকে মেইল করা বা স্ক্রিন শেয়ার করা, অথবা কাজের জন্য কোন নির্দিষ্ট সফটওয়ার ব্যবহার করা - এই সব আপনাকে শিখতে হবে।
ভুল ধারনা#৭
এটা আসলে খুব বড় একটা ভুল ধারণা। "ফ্রিল্যান্সিং করা" কখনো আপনার জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না, এটা আপনার একটা পেশাগত সিদ্ধান্ত হতে পারে। কেউ কেউ প্রাইভেট চাকরী করে, কেউ সরকারী; কেউ স্কুল-কলেজে পড়াতে চায়, আর কেউ চায় কর্পোরেট চাকরী। ঠিক তেমনি আপনি যদি ফ্রিল্যান্স কাজ করতে চান, সেটা হবে আপনার একটা সিদ্ধান্ত। আপনি যদি এটাকে আপনার জীবনের লক্ষ্য মনে করে পড়াশোনা বাদ দিয়ে আসতে চান, সেটা আপনার জন্য একটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে।
আপনি পড়াশোনা শেষ করে কিংবা একটা কাজ শিখে এই পেশায় আসতে পারেন, সেটা ঠিক আছে। অথবা এমন যদি হয় যে কোন কারনে আপনি পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি, বা আপনার যে যোগ্যতা আছে তা দিয়ে আপনি চাকরী পারছেন না, তবে নিঃসন্দেহে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি কাজ খুজতে পারেন। মনে রাখবেন, এটা শুধুমাত্র কাজ করার একটা মাধ্যম, এটা কখনও আপনার শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না। তাই পড়াশোনা বাদ দিয়ে বা ফাঁকি দিয়ে "ফ্রিল্যান্সিং" শিখতে আসবেন না। নিজেকে যোগ্য করে তুলুন - ডিগ্রি হোক, জ্ঞানে হোক আর দক্ষতায় হোক - তারপর ফ্রিল্যান্স কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তার আগে নয়।
এখন হয়তো ফ্রিল্যান্সিং একটা ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে, কালকে সেটা নাও থাকতে পারে। আগামি ১০ বছরে হয়তো "ফ্রিল্যান্সিং" বলতে আর কিছুই থাকবে না। তখন? যারা দক্ষ তারা ঠিকই একটা চাকরি পেয়ে যাবে। কিন্তু কেউ যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে টাকা আয় করার আশায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে থাকে, বা পড়াশোনা'র প্রতি অমনোযোগী হয়ে থাকে, সে বিপদে পরে যাবে।
আশা করি আপনাদের কিছু প্রশ্নের জবাব এখানে পেয়েছেন; ধন্যবাদ!
Nice. Thank you
ReplyDelete